পাবনায় বন্যহাতি হত্যার প্রতিবাদে ও বন্য পশুপাখি সংরক্ষণে বনবিভাগের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় বন্যপ্রাণী বিষয়ক সংগঠন ন্যাচার এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনসারভেশন কমিউনিটি এ কর্মসূচি আয়োজন করে।
শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নেয় ভয়েজ ফর ভয়েজলেস, তারুণ্যের অগ্রযাত্রাসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। মানববন্ধন থেকে বন্যহাতি সংরক্ষণে বনবিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও শীতকালে বিভিন্ন এলাকায় পরিযায়ী পাখি শিকার ও কেনা-বেচা বন্ধের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন তারা।
এ সময় ন্যাচার এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনসারভেশন কমিউনিটির সভাপতি এহসান আলী বিশ্বাস, সহ-সভাপতি সুপ্রতাপ চাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, সদস্য জুবায়ের হাসান, খান আনোয়ার, আনিকা তাসনিম, আফিদ্রা বর্ষা, ভয়েজ ফর ভয়েজলেস এর শাহারিয়ার রাতিন, তারুণ্যের অগ্রযাত্রার সভাপতি জুবায়ের খান, পাবনা ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাসুদ রানা, জুয়েল আসিফ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা হাতি হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত এক সপ্তাহে পাঁচটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখজনক। হাতির এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা বিস্মিত হবার মত। দেশে এশীয় প্রজাতির এই হাতিকে বন্যপ্রাণী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইউসিএন ‘মহা-বিপন্নের তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করলেও প্রাণী রক্ষায় প্রশাসনের সামান্য নজরদারি নেই।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইন তুলে ধরে বক্তারা বলেন, কোন ব্যক্তি হাতি হত্যা করেছে বলে প্রমাণিত হলে তিনি জামিন পাবেন না এবং অপরাধীকে সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে।